সুরা ‘লাইলাতুল কদর’ আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অনুবাদ ও ফজিলত
সূরা কদর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত ও আরবি
সূরা লাইলাতুল কদর আরবি বাংলা উচ্চারণ অনুবাদ ও ফজিলত দেখুন আমাদের এখানে। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,অনেক ফজিলতের মাঝে রমজান মাস ইতিমধ্যে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে চলেছে। আজ ২৭ শে রমজান বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে ২৭ রমজান লাইলাতুল কদর সকল মুসল্লী পালন করে থাকে। যার জন্য সূরা আল কদর পবিত্র কুরআনের ফজিলতপূর্ণ এবং মর্যাদা সম্পন্ন একটি সূরা। আজকে রাতে সকল মুসলিম লাইলাতুল কদর, বাংলা উচ্চারণ, অনুবাদ, এবং ফজিলত দেখতে চাই।
আপনি যদি কদরের রাতে কি কি আমল করতে হবে এ সমস্ত তথ্য দেখতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকুন। কারণ লাইলাতুল কদর এমন একটি রাত যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। লাইলাতুল কদর রাত্রে কি কি আমল সমূহ করতে হবে।
সুরা লাইলাতুল কদর আরবি:
সকলের সুবিধার জন্য আমরা সূরা লাইলাতুল কদর আরবি নিচে প্রকাশ করলাম।
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِلَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ
سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
সুরা লাইলাতুলকদর বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ
সূরা আল-কদর বাংলায় উচ্চারণ : ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর। ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর। লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর। তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর। ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর।
সূরা আল-কদর বাংলায় অর্থ : নিশ্চয় আমি এটা (কুরআন) কদর রাতে নাযিল করলাম। আর আপনি কি জানেন, মহিমান্বিত রাত কি? কদর (মহিমান্বিত) রাত, হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে প্রত্যেক বরকত পূর্ণ বিষয় নিয়ে ফেরেশতা ও রূহ (জিবরাঈল) (দুনিয়াতে) অবতীর্ণ হয়, স্বীয় রবের নির্দেশে। সে রাতে সম্পূর্ণ শান্তি, ফজর পর্যন্ত বিরাজিত থাকে।
অনার্স ১ম বর্ষের রেজাল্ট ২০২৪ (শিক্ষাবর্ষ ২১-২২) মার্কশিট সহ
সুরা কদরের ফজিলত
আর ২৭ শে রমজান সারা বিশ্বে লাইলাতুল কদর পালন করা হবে যার জন্য সকল মুসল্লি লাইলাতুল কদর বাংলা উচ্চারণ সহ অনুবাদ দেখতে চাই যার মাধ্যমে তারা বুঝতে পারবে লাইলাতুল কদরের কত ফজিলত। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে,যে বাক্তি ঈমান সহকারে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ আশায় ইবাদতের মাধ্যমে রাত্তি জাগরণ করবে তাহার পিছনে যাবতীয় গুনাহ মাফ হয়ে যাবে (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)।আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর পেল তার মত ভাগ্যবান পৃথিবীতে কেউ নেই।তাই আমরা সকলে লাইলাতুল কদরের আশায় আল্লাহর কাছে ইবাদতের মাধ্যমে ক্ষমা ও প্রার্থনা করব।
এ আয়াতের ব্যাখায় মুফাসসিরকুল শিরোমণি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম’। (তানবিরুল মিকবাস মিন তাফসিরে ইবনে আব্বাসঃ ৬৫৪ পৃষ্ঠা)।
তাবেয়ি মুজাহিদ (র.) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, ‘এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, দরুদ কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম। ’
মুফাসসিররা এমনই ব্যাখ্যা করেছেন। আর এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। (ইবনে কাসির: ১৮ খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা)